Diabetic Neuropathy | স্নায়ু রোগ ও ডায়াবেটিস | Patient awareness presentation by Miyanur Alam
●ডায়াবেটিস রোগীদের স্নায়ুর অসুখ( Neuropathy):
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হচ্ছে এমন এক ধরনের স্নায়ু বা নার্ভ ঘটিত অসুখ, যা শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর হয়। রক্তে উচ্চ মাত্রার চিনির উপস্থিতির কারণে পুরো শরীরের বিভিন্ন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে হাত ও পায়ের স্নায়ু বেশি আক্রান্ত হয়।
●●কারণ:
ধারণা করা হয়, রক্তে গ্লুকোজের আধিক্যের কারণে স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেখা গেছে, যেসব রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তারাই মূলত নিউরোপ্যাথির শিকার হয়। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীর প্রায় ৬০-৭০ শতাংশই কোনো না কোনো মাত্রায় নিউরোপ্যাথিতে আক্রান্ত হয়।
○○নিউরোপ্যাথি কয়েক রকমের হতে পারে। যেমন-
■পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি/ Peripheral Neuropathy (হাত ও পায়ের স্নায়ু বেশি আক্রান্ত হয়);
■প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি/ Proximal Neuropathy (হাত ও পায়ের ওপরের দিকে মাংসপেশির স্নায়ু আক্রান্ত হয়);
■অটোনমিক নিউরোপ্যাথি/ Autonomic Neuropathy(হৃদযন্ত্র, রক্তনালি, পরিপাকতন্ত্র, মূত্র ও যৌনাঙ্গ, শরীরের রেচন প্রক্রিয়া ইত্যাদি আক্রান্ত হয়)
■ফোকাল নিউরোপ্যাথি/ Focul Neuropathy (কোনো একটি নির্দিষ্ট স্নায়ু আক্রান্ত হয়)।
●পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি:
– এতে হাত ও পায়ের নিচের দিকের অংশ অর্থাৎ কনুইয়ের নিচে ও হাঁটুর নিচের দিকের অংশে ব্যথা করা, জ্বালা-পোড়া করা, ঝিনঝিন করা ও অবশ লাগা ভাব হয়।
– হাত ও পায়ের এই অংশ ঠাণ্ডা থাকে, লোম পড়ে যায়, হাত ও পায়ের অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়।
-আঘাত লাগলে বা পুড়ে গেলে ব্যথা পাওয়া যায় না। সে কারণে পায়ে প্রায় ঘা হয়, পচন ধরে।
-ডায়াবেটিসের কারনে রক্তনালি সরু হয়ে যায় বলে রক্ত চলাচল কম থাকায় ঘা সহজে শুকায় না।
-পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির ব্যথা সাধারণত রাতের দিকে বেশি হয়।
– রোগী নিজে নিজে ভালোভাবে দাঁড়াতে পারে না।
●প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি:
-এতে হাত ও পায়ের ওপরের দিকের অর্থাৎ উরু, বস্থিদেশ ও বাহুর মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা যায় এবং মাংসপেশি শুকিয়ে যায়।
– এটা সাধারণত বয়স্ক মানুষদের হয় এবং চিকিৎসায় ভালো হয়। টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি বা ডায়াবেটিক অ্যামিট্রফি হয়।
-সাধারণত শরীরের একপাশ আক্রান্ত হয়। কিছু ক্ষেত্রে উভয় পাশেই হতে পারে।
– লক্ষণের মধ্যে আছে হঠাৎ উরু বা বস্থিদেশ বা মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা, বসা থেকে উঠতে অসুবিধা বোধ, পেট ফুলে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, পায়ের শক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
●অটোনমিক নিউরোপ্যাথি:
শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও স্নায়ু আছে। এই স্নায়ুগুলো অটোনমিক নার্ভ বা স্নায়ু নামে পরিচিত। এসব স্নায়ু যখন ডায়াবেটিসের কারণে আক্রান্ত হয়-সেটাকে বলে অটোনমিক নিউরোপ্যাথি।
-অটোনমিক নিউরোপ্যাথি হৃৎপিণ্ডের গতির অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, রক্তচাপ কমে যায়।
– খাবার ঠিকমতো হজম হয় না।
-মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
– পায়খানা ও প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ কমে যায় বা নষ্ট হয়।
-ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
-বমি ও বমিবমিভাব হয়, গিলতে অুসবিধা, যৌন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত, শরীরের তাপমাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
●ফোকাল নিউরোপ্যাথি:
যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট নার্ভে সমস্যা দেখা দেয়, তখন তাকে ফোকাল বা মনো নিউরোপ্যাথি বলে। কোন স্নায়ু আক্রান্ত হয়েছে তার ওপর লক্ষণ নির্ভর করে। সাধারণ লক্ষণের মধ্যে আছে :
-নির্দিষ্ট কোনো কিছুর দিকে ভালো করে তাকাতে অসুবিধা বোধ,
-মুখের যেকোনো একপাশে অবশ (বেলস পালসি), -পায়ে ব্যথা, থাইতে ব্যথা, পেটে বা বুকে ব্যথা,
– হাতের আঙুলে ব্যথা (কার্পাল টানেল সিনড্রোম), হাত থেকে জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
■■••••••চিকিৎসা:••••••■■
প্রতিরোধই হচ্ছে মূলত ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির চিকিৎসা। একবার নিউরোপ্যাথি হয়ে গেলে তা আর নিরাময় করা সম্ভব না। তবে কঠোরভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা গেলে, নিউরোপ্যাথি আরো খারাপ অবস্থায় যাওয়া বন্ধ করা যায়।
তাই ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি নিয়ন্ত্রণের জন্য
* কঠোরভাবে যথাযথ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা।
* নিউরোপ্যাথির উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ। যেমন-ব্যথা হলে ব্যথানাশক ওষুধ, স্নায়ু ভালো রাখে এমন ভিটামিন নিয়মিত সেবন ইত্যাদি।
* রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে রক্তনালিকে সরু হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।
* অটোনমিক নিউরোপ্যাথির রোগীদের নিয়মিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ।
ডায়াবেটিক সারা জীবনের অসুখ। নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, পরিমিত খাদ্য ও সঠিক মাত্রার ঔষধই পারে – ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রন করে একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন দিতে। তাই সকলের ডায়াবেটিক রোগের ভয়াবহতা সর্ম্পকে জানা উচিত। শুধুমাত্র সঠিক জ্ঞন অর্জনের মাধ্যমেই ডায়াবেটিক রোগ প্রতিকার করা সম্ভব।
■■ᴡʙ ᴅɪᴀʙᴇᴛᴇs ғᴏʀᴜᴍ■■
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক করুন।
শেয়ার করতেও ভুলবেন না।
আপনার ভিদিওতি দেখলাম । অনেক কিছু জানতে পারলাম । ডায়াবেটিক জনিত কারনে আমার মায়ের পায়ে ব্যাথা ও অন্যান্ন সমস্যা ভীষণ ভাবে ভোগায় । আপনি দয়া করে আপনার ফোন নাম্বারটি দিবেন । এব্যাপারে আপনার পরামর্শ প্রয়োজন ।
ডায়াবেটিস রোগীদের ভালো করিতে গিয়ে কোন ভাবে ফেক নিউজ YOUTUBE তে দেখাইবে না , কারন – ভালোর থেকে মানুষ বেশি বিপদে পড়বে |
Helfull for diabetic patients. Thank u.
Thanks miyanur da for discussing needful topic
সার আমার এলাজি ছিল আমি ডাক্তার কাছে গিয়ে ছিলাম ডাক্তার বলে ইনজেকশন দিলে ভাল হবে আমি ইনজেকশন দয়েছি দেয়ার তিন মাসপর আমি মালয়েশিয়া আছি তার পারে আমার সরিলে সুচের মত ফোটে চামড়া ভিতর দিয়ে পোকার মোত হাটে আবার সাট গায়েদিলে পটাস পটাস করে ফোটে আবার জঊনো আংগ সোমসা হয়েছে আমার ডায়াবেটিস নেই আমি মালয়েশিয়া ডাক্তার কাছে গিয়ে ছিলাম বোলাট টেস্ট করেছি পোসাব টেস্ট করেছি ৬ থেকে ৭বার আমি বাংলাদেশ ডক্টর কাছে আমার সমস্যা কথা বলছি আমাকে বলে ইনজেকশন থেকে এই সমস্যা হয়েছে ওঊসদ দিয়ে ছে মেডিসিন খাওয়ার পরে আনেক টা সোসত ছিলাম আবার সমস্যা বুঝতে পারছি আমাকে পরামর্শ দিবেন সার আনেক ওপকা হবে
আরও কিছু ইনভেস্টিগেশন করতে হবে। Come to India if Possible..
Plz ami.ek mash dore payer jalay bugsi..amr payer nise lal lal guta guta ki zeno ber hoyede..onek onek chulkay r besi chulkay rater belay..plz amy kisu ekta osuder kotha bolen.plz uttor din
Dermatologist কে দেখিয়ে নিন প্লিজ.
sir amar payer tolay camrar bitor piprar moton ki jeno hate ata ki problem hoice plz bolben pray 1 MONTH jabot eta hocce
Neurologist এর সাথে একটু দেখা করুন।
স্নায়ুতে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে কী করতে হবে?
v.good adv.
Very great video